Tuesday, 6 November 2012

সাহিত্য কবিতাবলী

পু ল ক  হা সা ন
আত্মরক্ষা
শীতে আর্তনাদ করে ওঠা পাতাটির মতো
মৃত্যুভয় আমার মনে
ধার্মিকের অনাবশ্যক খিস্তি থেকে
আছি তাই নিরাপদ;

দারুণ এই সময় যে-বা চাই অভয়
প্রেমের বিভীষিকায় শুধু আত্মক্ষয়
মৃত্যু প্রলোভন তাই যদি না জড়াত
পায় পায়, মন থেকে যত বিচিত্র ক্ষত
সারাবার থাকত কী উপায়?

এই ভেবে জেগে উঠি সাহসে
আহতের কণ্ঠ চিরে রক্তিম সারসে।

আ ই উ ব  সৈ য় দ
নিরপেক্ষ শরত
নিরপেক্ষ শরতটা হইচই করে ঘরে ফিরে
মাঝে মধ্যে বোধশক্তি হারিয়ে ফেলে কল্পিত স্বরে,
সুর তাল লয় ডেকে শিশির ছায়ায় মিশে যায়
মনোনীত ব্যাকুলতা কেঁপে ওঠে অবিরত ঘরে।
পাখা ঝাপটানো দৃষ্টি প্রতিনিয়ত মুখ ফিরিয়ে
বিতর্ক করে উল্লাসে; উদাসী অবলোকনে পায়
অপঠিত রাতেরই বিপন্ন আচরণের ভাষা,
লুকানো রহস্য নিয়ে ডুবুরি সেজেই সাঁতরায়।

নিরপেক্ষ শরতটা আবার তদন্তের ভারেও
গোপন করে গোধূলি, কবিতার তীর ঘাম আর
অসহনীয় বিলাপ, উদোম পত্রালির রোমাঞ্চÑ
বুঝি না অগ্নিপরীক্ষা, আয়োজনে কেন হাহাকার?

নিরপেক্ষ শরতটা অজানা দাবির যৌথ ক্ষতে,
এখনো আছড়ে পড়ে সাবালিয়ার কথিত পথে।

কৃ ষ্ণা ন ন্দ  সা হা  রা য়
অসীমে হারিয়ে যাওয়া
মনে করো আমি নেই
নিথর নিষ্পন্দ প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে
স্তূপীকৃত একরাশ বালির স্তূপে
জেগে আছে শুধু আমার নিজস্ব মন ও চেতনা
রূপান্তরিত জৈবিক দেহ কঠিন প্রস্তর শিলায়।

মনে করো আমি নেই চেতনার নীলাকাশে চলেছি ছুটে
টেনে নিয়ে স্মৃতিময় বিদেহী সত্তাকে আমার
মিশে যেতে সীমাহীন অসীম আনন্দলোকে

সুখ নেই, দুঃখ নেই, নেই কোনো জ্বালাময় যন্ত্রণা
চাওয়া নেই, পাওয়া নেই, নেই কোনো আমিত্বের অহঙ্কার
ছায়া নেই, কায়া নেই, জৈবিক দেহ ছাড়ি
প্রাপ্তি শুধু একমাত্র অসীমে হারিয়ে যাওয়া।



No comments:

Post a Comment